আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর, বাংলার ভাদ্র সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মা পূজা। সকল কে জানাই বিশ্বকর্মা পূজার শুভেচ্ছা। বিশ্বকর্মা পূজা পালনের আগে আসুন আমরা বিশ্বকর্সুজা পুজা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই।
আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর, বাংলার ভাদ্র সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মা পূজা। সকল কে জানাই বিশ্বকর্মা পূজার শুভেচ্ছা। বিশ্বকর্মা পূজা পালনের আগে আসুন আমরা বিশ্বকর্সুজা পুজা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই।
বিশ্বকর্মা যার আক্ষরিক অর্থ সর্ব স্রষ্টা। ইনি একজন হিন্দু দেবতা। ঋকবেদ অনুযায়ী তিনি পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টি শক্তি র দেবতা। ঋকবেদে তাঁকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মান্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বকর্মার বাহন হংস ও হস্তী। বিশ্বকর্মা বৈদিক দেবতা ঋক বেদের ১০ম মন্ডলে ৮১এবং ৮২ সূক্তদ্বয়ের বিশ্বকর্মার উল্লেখ আছে। তিনি সর্ব দর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তাঁর চক্ষু, মুখমন্ডল, বাহু ও পদ সর্ব দিকে পরি ব্যপ্ত। তিনি বাচস্পতি, মনোজব বদান্য, কল্যানকর্মা ও বিধাতা অভিধায় ভূষিত। তিনি ধাতা, বিশ্ব স্রষ্টা ও প্রজাপতি। বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরীরনির্মাতা। তিনি বিশ্বভূবন নির্মাণ করেন। বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকেয়র শক্তি প্রভৃতি তিনি তৈরী করেছেন। শ্রীক্ষেত্রের প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তি ও তিনি নির্মাণ করেন।
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পুজো করা হয়। সুতার মিস্ত্রীদের মধ্যে এই পুজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে বাংলা দেশে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প,স্থাপত্য শিল্প, মৃৎ শিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিগত নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পুজো করে থাকেন। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতেই কেন তাঁর পুজো হয়? এ সম্পর্কে বৃহৎ সংহিতাতে উল্লেখ রয়েছে।
গ্রীষ্মের শেষে সূর্য মেঘ রচনা করে কর্মের মাধ্যমে বিশ্বের কর্ম অর্থাৎ কৃষি সংরক্ষণ করে, তাই তিনি হচ্ছেন বিশ্বকর্মা। ভাদ্রমাসের শেষের দিকে বর্ষা শেষ হয়ে যায়। তখন কৃষি কর্ম পূর্ণতা পায়। এই সয়য় কৃষকরা ফসলের জন্য প্রতিক্ষা করে তাই সেই কর্মক্ষান্তিতে ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে তাঁকে পুজো করে কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেন।
✍ শাশ্বতী দত্ত
তথ্য সূত্র : গুগল
বিশ্বকর্মা পূজার ছবি |
COMMENTS