Bakrid Eid ul-Adha 2024 - বকরি ইদ বা ঈদ-উল-আদাহ ২০২৪- ইসলাম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছরের শেষ মাসে বকরি ইদ পালিত হয়
Bakrid Eid ul-Adha 2024 - বকরি ইদ বা ঈদ-উল-আদাহ ২০২৪
বকরি ঈদ বা ঈদ-উল-আদহ, যা সাধারণত বলা হয় 'কোরবানির ঈদ', হলো ইসলামিক বছরের দুইটি বড় ঈদের মধ্যে একটি। এটি ইসলামিক ক্যালেন্ডারের জিলহজ মাসের ১০ তম দিনে পাওয়া যায়।
২০২৪ সালে, বকরি ঈদ বা ঈদ-উল-আদহ হবে ১৭ জুন (ইসলামিক ক্যালেন্ডারের ১০ই জিলহজ মাস)।
ইসলাম ধর্মের সমস্ত উত্সব পালিত হয় সাধারণত লুনার বা চান্দ্র ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভর করে। সৌর ক্যালেন্ডারের থেকে চান্দ্র ক্যালেন্ডার ১১ দিন ছোট। এজন্যে প্রতি বছর ইদের দিন এক হয় না। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১২তম ও শেষ মাস অর্থাৎ ধু অল-হিজ্জা মাসের দশম দিনেই পালিত হয় ইদ-অল আদাহ।
বকরি ইদ বা ঈদ-উল-আদাহ এর সপ্ন
প্রচলিত বিশ্বাস একদা আল্লাহ পয়গম্বর হজরত ইব্রাহিমের পরীক্ষা নেবেন ঠিক করেন। তাই তিনি হজরত ইব্রাহিমকে নিজের প্রিয় বস্তু কোরবান করার জন্য সপ্নে আদেশ দেন। ঘুম থেকে উঠে হজরত ইব্রাহিম ভাবতে শুরু করেন যে, কি এমন জিনিস আছে যা তার বেশি প্রিয়। হজরত ইব্রাহিম নিজের একমাত্র সন্তান ইসমাইলকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। তাই আল্লাহ্ এর আদেশ আনুজায়ি তিনি নিজের একমাত্র সন্তানের করবানি দেবেন ঠিক করেন।
ইসলাম ধর্মে বকরি ঈদ বা ঈদ-উল-আদার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ঈদ-উল-আদার মাধ্যমে বলিদান ও উৎসর্গের গুরুত্বকে প্রকাশ করা হয়। ইসলাম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছরের শেষ মাসে বকরি ইদ পালিত হয়। এই তিথিতে পশুর কুরবানি দেওয়া হয়। এ বছর কবে বকরি ঈদ, কবে থেকে শুরু এই কুরবানি প্রথার, সে সবই এখানে আলোচনা করা হল।
বকরি ইদ বা ঈদ-উল-আদাহ কেন পালিত হয় ?
ইসমাইলকে নিয়ে তিনি কোরবানির উদ্দেশে রওনা হলে রাস্তায় এক শয়তানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তিনি হজরত ইব্রাহিমকে পরামর্শ দেয় যে নিজের প্রিয় সন্তানকে কোরবান করার না করে পশুর বলিদান দিয়ে দেওয়া উচিত।
একবারের জন্য ওই শয়তানের কথা হজরত ইব্রাহিম মানবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু পরক্ষণেই তিনি ভাবেন এই রুপ হলে পবিত্র আল্লাহ্ এর সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করা হবে। তাই কিছু না-ভেবে তিনি নিজের সন্তানকে নিয়ে এগিয়ে যান। কোরবানি স্থলে চলে যান হজরত ইব্রাহিম। কিন্তু পিতার স্নেহ তাঁর রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ।
এই মোহ কাটানোর জন্য তিনি নিজের চোখে একটি কাপড় বেঁধে পুত্রের কোরবানি দিতে তৈরি হন, যাতে পুত্র স্নেহ আল্লাহের ভক্তির পথে বাধা হয়ে না দারাতে পারে। তার পর পুত্রের কোরবানি দেন তিনি।
এরপর নিজের চোখের কাপড় খুলে হজরত ইব্রাহিম দেখেন যে, তাঁর সন্তান ইসমাইল বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার জায়গায় দুম্বা নামক এক পশু কোরবান হয়েছে। এটি ছাগল বা ভেড়া প্রজাতির এক পশু।
এই সময় থেকে বকরি বা ছাগল বলি দেওয়ার প্রথাটি শুরু হয়। এটি বকরি ইদ নামে পরিচিত। এই ইদ উৎসর্গের প্রকাশ হিসেবে পালিত হয়।
COMMENTS