বন্ধুরা সকলকে আসন্ন শুভ মহালয়া ২০২০ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি মহালয়া উপলক্ষে আমাদের ছোটো গল্প "স্মৃতির সরণী বেয়ে" । একটি সুন্দর মিষ্টি ছোটো গল্প, গল্প টি একটি একান্নবর্তী পরিবারে বড়ো হয়ে ওঠা রাকা কে নিয়ে...
মহালয়ার ছোটো গল্প |
বন্ধুরা সকলকে আসন্ন শুভ মহালয়া ২০২০ এর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি মহালয়া উপলক্ষে আমাদের ছোটো গল্প "স্মৃতির সরণী বেয়ে" । একটি সুন্দর মিষ্টি ছোটো গল্প, গল্প টি একটি একান্নবর্তী পরিবারে বড়ো হয়ে ওঠা রাকা কে নিয়ে। দয়া করে গল্পতি পুরোটা পড়বেন, আশাকরি আপনাদের সকলের ভালো লাগেবে।
গল্পের নাম - স্মৃতির সরণী বেয়ে
গল্পটি লিখেছেন - শাশ্বতী দত্ত
আজ মহালয়া, রাকাদের বাড়ির দূর্গাপুজো প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো। কে যে শুরু করেছিলেন এই পুজো তা আজ আর কারো মনে নেই। তবে সেই প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত সেই একই নিয়মে চলে আসছে এই ঘোষাল বাড়ির পুজো। নিয়ম আনুযায়ী মহালয়ার দিন দুঃস্থ মানুষদের নিজ হাতে বস্ত্র বিতরন করেন এ বাড়ির কর্তা।
মহালয়ার দিন থেকেই বাড়িতে সাজো সাজো রব। ঠাকুর তৈরী হয় বাড়ির ঠাকুর দালানে। একান্নবর্তী পরিবার রাকাদের। কর্মসূত্রে ও বিবাহ সূত্রে যারা বাইরে থাকে তারা প্রত্যেকে মহালয়ার আগের দিন পৈতৃক ভিটেয় ফিরে আসেন। এবাড়ির কর্তার হুকুম সকলে মিলে একসাথে মহালয়ার ভোরে চন্ডীপাঠ শোনার। সবাই সেই নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।
কিন্তু রাকা কোনো দিন ই ভোরে উঠতে পারে না, আজও প্রায় ৫ মিনিট লেট। মায়ের তাড়ায় ঘুম ভেঙে দেখে প্রায় সবাই ঠাকুর দালানে পৌঁছে গেছে। কোনো রকমে উঠে দৌড় লাগলো দালানের দিকে। হঠাৎ ধাক্কায় ঘুম ভেঙে গেল।
তিন্নির গলা রাকাকে ডাকছে " ওমা ওঠো, মহালয়া তো শুরু হয়ে গেল "। ঘুম টা ভাঙতেই ও বুঝল ঘুমের মধ্যে ছোট বেলায় ফিরে গেছিল। বিছানা ছেড়ে ড্রয়িংরুমে এসে দেখে বিতান চা নিয়ে হাজির। সামনে টিভি চলছে। মহালয়ার প্রোগ্রাম শেষ হতে ই রাকা বিতানকে তাড়া লাগানো রেডি হওয়ার জন্য। মেয়েকে রেডি করিয়ে নিজেও রেডি হয়ে নীচে নেমে এল। ওরা গাড়িতে উঠলে বিতান গাড়িতে স্টার্ট দিল। গন্তব্য ঘোষাল বাড়ি।।
COMMENTS