.. শিখব যে বাংলা পদ-গুচ্ছে বা বাক্যাংশে বাগধারা কিভাবে প্রয়োগ করা হয় অর্থাৎ বাগধারা প্রয়োগের উদাহরন আর সেই সাথে সিছে নেব বাগধারা মনে রাখার কিছু সহজ ও সরল উপায়...
বন্ধুরা আগের অধ্যায়ে আমরা জেনেছি বাগধারা কাকে বলে এবং তার কিছু উদাহরন দেখেছি। আজ এই অধ্যায়তে আমরা দেখব বাংলা বাক্যে বা বাংলা শব্দ-গুচ্ছে বাগধারার প্রয়োগের আরও কিছু উদাহরন -
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো (একই প্রকৃতির লোক) – টুটুল যেমন বেয়াদব, সেন্টুও তেমনি- দু’জনে যেন একই ক্ষুরে মাথা মুড়ানো।
এলোপাতাড়ি (বিশৃঙ্খলভাবে) – পড়ার টেবিলে বই – পুস্তুকগুলো এলোপাতাড়িভাবে পড়ে আছে।
ওজন বুঝে চলা (আত্মসম্মান রক্ষা করা) – বয়স কিন্তু আপনার কম হয়নি, এবার ওজন বুঝে চলুন।
ওষুধ পড়া (প্রভাপ পড়া) – মেয়েটি আগে এমন ছিল না, কে যেন অকে ওষুধ পড়া দিয়েছ।
কই মাছের প্রান (যা সহজে মরে না) – কী কই মাছের প্রাণরে বাবা – এত মার খেয়েও চোরটা দিব্বি হেঁটে যাচ্ছে।
কড়ায়গণ্ডায় (পুরুপুরি) – তোমাদের পাওনা আমি কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছি।
কথায় চিড়া ভিজা (বিনা ব্যয়ে কার্য সিদ্ধি) – শুধু মিঠা কথায় চিড়া ভিজবে না, মাল ছাড়তে হবে।
বিকাশ বাংলাতে বাংলা ব্যেকারণ এর দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের সকলকে স্বাগত আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা শিখব যে বাংলা পদ-গুচ্ছে বা বাক্যাংশে বাগধারা কিভাবে প্রয়োগ করা হয় অর্থাৎ বাগধারা প্রয়োগের উদাহরন আর সেই সাথে সিছে নেব বাগধারা মনে রাখার কিছু সহজ ও সরল উপায়।
কি ভাবে বাগধারা মনে রাখবেন -
বাগ ধারা মনে রাখার উপায় শিখতে হলে আরও আক বার বুজতে হবে বাগধারা কাকে বলে - "বাক্যও বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা"। বিশেষ প্রসঙ্গে
শব্দের বিশিস্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরি হয়েছে।এ ধরনের
প্রয়োগের পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশ আভিধানি অখ ছাপিয়ে বিশেষ অর্থের দ্যোতক হয়ে
উঠে।যেমন :‘অন্ধকারে ঢিল ছোড়া’কথাটি দিয়ে বোঝানো হয় আন্দাজে কিছু করা’।এর
সংঙ্গে অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার বাস্তব কোন সম্পর্ক নেই।
বাংলা বাক্যে বাগধারা প্রয়োগের উদাহরন -
আখের গোছানো (স্বার্থ হাসিল করা) – লোকটাকে দেখে তো ভালই মনে হয়েছিল, কিন্তু সে যে সবার সর্বনাশ করে আখের গোছাবে কে জানে?
আগুন নিয়ে খেলা (বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা) – ছাপোষা কর্মচারী হয়ে মাকিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছ; এ যে আগুন নিয়ে খেলা তা একবার ভেবে দেখেছ?
আগুন লাগা সংসার (ভেঙে যাচ্ছে এমন সংসার) – আজীবন শুধু সুখ সুখ করছ, কিন্তু এমন আগুন লাগা সংসারে সুখ আসবে কি করে!
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (হঠাত বড় লোক হওয়া) –যারা আঙ্গুল ফুলে কালাগাছ হয় তারা ধরাকে সরজ্ঞান করে।
আঁতে ঘা (মনকষ্ট) – এমনিতেই ভালই, কিন্তু টাকা চাইলেই তোমার আঁতে ঘা লাগে।
আদাজল খেয়ে লাগা (উঠে পরে লাগা, সবিশেষ চেষ্টা) – সে তো তোমার কোন ক্ষতি করেনি; তাঁর ক্ষতি করার জন্য তুমি এভাবে আদাজল খেয়ে লেগেছ কেন?
আদায়-কাচঁকলায় (শত্রুতা) – তারা একই এলাকার লোক কিন্তু দুজনে আদায়-কাচঁকলায় সম্পর্ক।
আঠার মাসে বছর (দীর্ঘসূত্রিতা) – সাত দিনের মধ্যে সে কিছতেই একাজ সম্পন্ন কতে পারবে না- তার তো আঠার মাসে বছর।
আটকপালে (হতভাগা) – বিয়ের দিন না পেরোতেই স্বামী হারালো, কী আটকপালে মেয়েরে বাবা!
আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অপদার্থ) – তোমাকে বললাম একটা কর্মঠ ছেলে এনে দিতে, আর তুমি এনে দিলে একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি।
আধাঁর ঘরের মানিক (অতি প্রিয় বস্তু) – এক মাত্র এই পুত্র সন্তাটিই বিধবা মায়ের আধাঁর ঘরের মানিক।
আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি গল্প) – যুগ পাল্টেছে, এখন আর আষাঢ়ে গল্প কেউ শোনে না।
আপন পায়ে কুড়াল মারা (নিজের অনিষ্ট করা) – দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়ে মেয়েটা আপন পায়ে কুড়াল মারলো।
আগুন নিয়ে খেলা (বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা) – ছাপোষা কর্মচারী হয়ে মাকিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছ; এ যে আগুন নিয়ে খেলা তা একবার ভেবে দেখেছ?
আগুন লাগা সংসার (ভেঙে যাচ্ছে এমন সংসার) – আজীবন শুধু সুখ সুখ করছ, কিন্তু এমন আগুন লাগা সংসারে সুখ আসবে কি করে!
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (হঠাত বড় লোক হওয়া) –যারা আঙ্গুল ফুলে কালাগাছ হয় তারা ধরাকে সরজ্ঞান করে।
আঁতে ঘা (মনকষ্ট) – এমনিতেই ভালই, কিন্তু টাকা চাইলেই তোমার আঁতে ঘা লাগে।
আদাজল খেয়ে লাগা (উঠে পরে লাগা, সবিশেষ চেষ্টা) – সে তো তোমার কোন ক্ষতি করেনি; তাঁর ক্ষতি করার জন্য তুমি এভাবে আদাজল খেয়ে লেগেছ কেন?
আদায়-কাচঁকলায় (শত্রুতা) – তারা একই এলাকার লোক কিন্তু দুজনে আদায়-কাচঁকলায় সম্পর্ক।
আঠার মাসে বছর (দীর্ঘসূত্রিতা) – সাত দিনের মধ্যে সে কিছতেই একাজ সম্পন্ন কতে পারবে না- তার তো আঠার মাসে বছর।
আটকপালে (হতভাগা) – বিয়ের দিন না পেরোতেই স্বামী হারালো, কী আটকপালে মেয়েরে বাবা!
আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অপদার্থ) – তোমাকে বললাম একটা কর্মঠ ছেলে এনে দিতে, আর তুমি এনে দিলে একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি।
আধাঁর ঘরের মানিক (অতি প্রিয় বস্তু) – এক মাত্র এই পুত্র সন্তাটিই বিধবা মায়ের আধাঁর ঘরের মানিক।
আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি গল্প) – যুগ পাল্টেছে, এখন আর আষাঢ়ে গল্প কেউ শোনে না।
আপন পায়ে কুড়াল মারা (নিজের অনিষ্ট করা) – দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়ে মেয়েটা আপন পায়ে কুড়াল মারলো।
ইতরবিশেষ (বৈষম্য) – ধনী-গরীবের এই ইতরবিশেষ ভুলে গিয়ে মানুষকে মানুষের মর্যাদা দাও।
উড়নচণ্ডী (অমিতব্যয়ী) উড়নচণ্ডী ছেলেটাকে নিয়ে বাবা-মা বিপদে পড়েছে।
উত্তম-মধ্যম (প্রহর) – উত্তম-মধ্যম দিয়ে গ্রামবাসীরা চোরটাকে ছেড়ে দিল।
উড়নচণ্ডী (অমিতব্যয়ী) উড়নচণ্ডী ছেলেটাকে নিয়ে বাবা-মা বিপদে পড়েছে।
উত্তম-মধ্যম (প্রহর) – উত্তম-মধ্যম দিয়ে গ্রামবাসীরা চোরটাকে ছেড়ে দিল।
ঊনপাঁজুরে (হতভাগ্য) – মিছিমিছি ঊনপাঁজুরে বলে মেয়েটার মন কেন খারাপ করে দিচ্ছ; দেখবে একদিন সে ঠিকই সৌভাগ্যের মুখ দেখবে।
একচোখো (পক্ষপাত) – জিম্বাবুয়ের একচোখো আম্পায়ারটা বাংলাদেশের পরাজয়কে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
এলাহি কাণ্ড (বিরাট ব্যাপার) – সামান্য বিষয়টাকে নিয়ে তোমরা একেবারে এলাহি কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলেছ।
এক নজরে (অতি অল্প সময়ের জন্য) – শুধু এক নজরে তোমাকে দেখার জন্য এত হূর থেকে ছুটে এসেছি।
একচোখো (পক্ষপাত) – জিম্বাবুয়ের একচোখো আম্পায়ারটা বাংলাদেশের পরাজয়কে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
এলাহি কাণ্ড (বিরাট ব্যাপার) – সামান্য বিষয়টাকে নিয়ে তোমরা একেবারে এলাহি কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলেছ।
এক নজরে (অতি অল্প সময়ের জন্য) – শুধু এক নজরে তোমাকে দেখার জন্য এত হূর থেকে ছুটে এসেছি।
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো (একই প্রকৃতির লোক) – টুটুল যেমন বেয়াদব, সেন্টুও তেমনি- দু’জনে যেন একই ক্ষুরে মাথা মুড়ানো।
এলোপাতাড়ি (বিশৃঙ্খলভাবে) – পড়ার টেবিলে বই – পুস্তুকগুলো এলোপাতাড়িভাবে পড়ে আছে।
ওজন বুঝে চলা (আত্মসম্মান রক্ষা করা) – বয়স কিন্তু আপনার কম হয়নি, এবার ওজন বুঝে চলুন।
ওষুধ পড়া (প্রভাপ পড়া) – মেয়েটি আগে এমন ছিল না, কে যেন অকে ওষুধ পড়া দিয়েছ।
কই মাছের প্রান (যা সহজে মরে না) – কী কই মাছের প্রাণরে বাবা – এত মার খেয়েও চোরটা দিব্বি হেঁটে যাচ্ছে।
কড়ায়গণ্ডায় (পুরুপুরি) – তোমাদের পাওনা আমি কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছি।
কথায় চিড়া ভিজা (বিনা ব্যয়ে কার্য সিদ্ধি) – শুধু মিঠা কথায় চিড়া ভিজবে না, মাল ছাড়তে হবে।
COMMENTS