আকাশকুসুম (অসম্ভব কল্পনা) – ওসব আকাশকুসুম ভেবে সময় নষ্ট করে লাভ নেই,আখের গোছানো (স্বার্থ হাসিল করা),...উভয় সংকট (দু’দিকেই বিপদ)...আমি পড়েছি উভয় সংকটে
১০০ টি বাগধারা সমূহের অর্থ ও উদাহরণ ও বাক্যে প্রয়োগ (Application And Meaning of 100 Proverbs in Bengali) -
'আ' - অক্ষর দিয়ে বাগধারা - অর্থ, উদাহরণ সহ বাক্যে প্রয়োগ
আকাশকুসুম (অসম্ভব কল্পনা) – ওসব আকাশকুসুম ভেবে সময় নষ্ট করে লাভ নেই, বাস্তবে ফিরে এস।
আকাশ-পাতাল (দুস্তর ব্যবধান) – হাবিব ও হাসান সহোদর ভাই, কিন্তু দুজনের চরিত্রে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।
আক্কেল গুড়ুম (স্তম্ভিত) – এইটুকু ছেলের কথা শুনে আমার তো আক্কেল গুড়ুম।
আকাশ ভেঙে পড়া (মহাবিপদ) – বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শারমিনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল।
আক্কেল সেলামী (নির্বুদ্ধিতার শাস্তি) – বিনা টিকেটে যারা রেল ভ্রমণ করে তাদেরকে মাঝে মধ্যে আক্কেল সেলামী দিতে হয়।
আকাশে তোলা (মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা) – প্রশংসা করতে করতে তাকে আকাশে তুলেছ তো এখন আর কাউকে সে পাত্তাই দেয় না।
আক্কেল দাঁত (বুদ্ধির পরিপক্বতা) – এসব কঠিন কথার মর্ম তুমি বুঝবে না; তোমার তো দেখি আক্কেল দাতই গজায়নি।
আখের গোছানো (স্বার্থ হাসিল করা) – লোকটাকে দেখে তো ভালই মনে হয়েছিল, কিন্তু সে যে সবার সর্বনাশ করে আখের গোছাবে কে জানে?
আগুন নিয়ে খেলা (বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা) – ছাপোষা কর্মচারী হয়ে মাকিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছ; এ যে আগুন নিয়ে খেলা তা একবার ভেবে দেখেছ?
আগুন লাগা সংসার (ভেঙে যাচ্ছে এমন সংসার) – আজীবন শুধু সুখ সুখ করছ, কিন্তু এমন আগুন লাগা সংসারে সুখ আসবে কি করে!
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (হঠাত বড় লোক হওয়া) –যারা আঙ্গুল ফুলে কালাগাছ হয় তারা ধরাকে সরজ্ঞান করে।
আঁতে ঘা (মনকষ্ট) – এমনিতেই ভালই, কিন্তু টাকা চাইলেই তোমার আঁতে ঘা লাগে।
আদাজল খেয়ে লাগা (উঠে পরে লাগা, সবিশেষ চেষ্টা) – সে তো তোমার কোন ক্ষতি করেনি; তাঁর ক্ষতি করার জন্য তুমি এভাবে আদাজল খেয়ে লেগেছ কেন?
আদায়-কাচঁকলায় (শত্রুতা) – তারা একই এলাকার লোক কিন্তু দুজনে আদায়-কাচঁকলায় সম্পর্ক।
আঠার মাসে বছর (দীর্ঘসূত্রিতা) – সাত দিনের মধ্যে সে কিছুতেই একাজ সম্পন্ন কতে পারবে না- তার তো আঠার মাসে বছর।
আটকপালে (হতভাগা) – বিয়ের দিন না পেরোতেই স্বামী হারালো, কী আটকপালে মেয়েরে বাবা!
আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অপদার্থ) – তোমাকে বললাম একটা কর্মঠ ছেলে এনে দিতে, আর তুমি এনে দিলে একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি।
আধাঁর ঘরের মানিক (অতি প্রিয় বস্তু) – এক মাত্র এই পুত্র সন্তাটিই বিধবা মায়ের আধাঁর ঘরের মানিক।
আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি গল্প) – যুগ পাল্টেছে, এখন আর আষাঢ়ে গল্প কেউ শোনে না।
আপন পায়ে কুড়াল মারা (নিজের অনিষ্ট করা) – দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়ে মেয়েটা আপন পায়ে কুড়াল মারলো।
'ই' - অক্ষর দিয়ে বাগধারা - অর্থ, উদাহরণ সহ বাক্যে প্রয়োগ
ইচঁড়ে পাকা (অকালপক্ব) – ছেলেটা এমন ইচঁড়ে পাকা হয়েছে যে, সব কিছতেই মুরুব্বীয়ানা ফলাতে চায়।
ইঁদুর কপালে (মন্দ ভাগ্য) – এতো কষ্ট করেও সুখের মুখ দেখলে না, তুমি আসলেই একটা ইঁদুর কপালে।
ইতরবিশেষ (বৈষম্য) – ধনী-গরীবের এই ইতরবিশেষ ভুলে গিয়ে মানুষকে মানুষের মর্যাদা দাও।
'উ' - অক্ষর দিয়ে বাগধারা - অর্থ, উদাহরণ সহ বাক্যে প্রয়োগ
উড়নচণ্ডী (অমিতব্যয়ী) - উড়নচণ্ডী ছেলেটাকে নিয়ে বাবা-মা বিপদে পড়েছে।
উত্তম-মধ্যম (প্রহর) – উত্তম-মধ্যম দিয়ে গ্রামবাসীরা চোরটাকে ছেড়ে দিল।
উভয় সংকট (দু’দিকেই বিপদ) – বড় সাহেবের কথামতো না চললে চাকরি যাবে, এদিকে জ্বলজ্যান্ত মিথ্যেয়াকেও হজম করতে পারছিনা- আমি পড়েছি উভয় সংকটে।
উঠতে বসতে (সব সময়) – শ্বশুরের কাছ থেকে যৌতুকের অর্থ গ্রহন করেছ – এখন উঠতে বসতে বুয়ের খোটা শুনতেই হবে।
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো (অপাত্রে দান) – চোরের কাছে ধর্মের কাহিনী বলা আর উলুবনে মুক্তা ছড়ানো একই কথা।
উঠতে বসতে (সব সময়) – শ্বশুরের কাছ থেকে যৌতুকের অর্থ গ্রহন করেছ, এখন উঠতে বসতে বউয়ের খোটা শুনতেই হবে।
উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে (একজনের অপরাধ অন্যের উপর চাপানো) – অসাধু লোকেরা বরাবরই উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়।
উড়ে এসে জুড়ে বসা (অযাচিতভাবে এসে সর্বেসর্বা হওয়া) – তুমি কে হে উড়ে এসে জুড়ে বসেছ?
'ঊ' - অক্ষর দিয়ে বাগধারা - অর্থ, উদাহরণ সহ বাক্যে প্রয়োগ
ঊনপঞ্চশ বায়ু (পাগলামি) – ওর সামনে বিয়ের কথা তুল না, এখনি কিন্তু ঊনপঞ্চাশ বায়ু বেড়ে যাবে।
ঊনপাঁজুরে (হতভাগ্য) – মিছিমিছি ঊনপাঁজুরে বলে মেয়েটার মন কেন খারাপ করে দিচ্ছ; দেখবে একদিন সে ঠিকই সৌভাগ্যের মুখ দেখবে।
'এ' - অক্ষর দিয়ে বাগধারা - অর্থ, উদাহরণ সহ বাক্যে প্রয়োগ
একচোখো (পক্ষপাত) – জিম্বাবুয়ের একচোখো আম্পায়ারটা বাংলাদেশের পরাজয়কে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
এলাহি কাণ্ড (বিরাট ব্যাপার) – সামান্য বিষয়টাকে নিয়ে তোমরা একেবারে এলাহি কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলেছ।
এক নজর (অতি অল্প সময়ের জন্য) – শুধু এক নজর তোমাকে দেখার জন্য এত দুর থেকে ছুটে এসেছি।
এক ঢিলে দুই পাখি মারা (এক সাথে দুই কাজ সমাধা করা) – গাইড হাউস মঞ্চে নাটক দেখবো সে সাথে টুকিটাকি বাজারটা ও সেরে নেব - এক ঢিলে দুই পাখি মারা আর কি।
একাদশে বৃহস্পতি (সুসময়) – পাস করতে না করতেই আপনার ছেলেটা ভাল চাকরি পেয়ে গেল, আপনার তো ভাই একাদশে বৃহস্পতি।
একাই একশ (অসাধারণ কর্মকুশল) – আসাদ থাকতে আমাদের কোন চিন্তা নেই, সে তো একাই একশ।
এক কথার মানুষ (যার কথায় নড়চড় হয় না) – বড় সাহেবের সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হবে না, তিনি এক কথার মানুষ।
এক মাঘে শীত যায় না (একবারে বিপদ কাটে না) – বিপদ চলে গেছ তাই তিনি আমাদের ঝোঁজ নেন না, কিন্তু বিপদ আসতে কতক্ষন, এক মাঘে শীত যায় না।
এসপার ওসপার (মীমাংসা) – খামখাই মামলাটাকে তোমরা ঝুলিয়ে রেখেছ – এবার একটা এসপার ওসপার করে ফেল।
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো (একই প্রকৃতির লোক) – টুটুল যেমন বেয়াদব, সেন্টুও তেমনি- দু’জনে যেন একই ক্ষুরে মাথা মুড়ানো।
এলোপাতাড়ি (বিশৃঙ্খলভাবে) – পড়ার টেবিলে বই গুলো এলোপাতাড়ি হয়ে পড়ে আছে।
এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো (একই প্রকৃতির লোক) – টুটুল যেমন বেয়াদব, সেন্টুও তেমনি- দু’জনে যেন একই ক্ষুরে মাথা মুড়ানো।
এলোপাতাড়ি (বিশৃঙ্খলভাবে) – পড়ার টেবিলে বই গুলো এলোপাতাড়ি হয়ে পড়ে আছে।
'ও' - অক্ষর দিয়ে বাগধারা - অর্থ, উদাহরণ সহ বাক্যে প্রয়োগ
ওজন বুঝে চলা (আত্মসম্মান রক্ষা করা) – বয়স কিন্তু আপনার কম হয়নি, এবার ওজন বুঝে চলুন।
ওষুধ পড়া (প্রভাপ পড়া) – মেয়েটি আগে এমন ছিল না, কে যেন অকে ওষুধ পড়া দিয়েছ।
ওষুধ পড়া (প্রভাপ পড়া) – মেয়েটি আগে এমন ছিল না, কে যেন অকে ওষুধ পড়া দিয়েছ।
'ক' - অক্ষর দিয়ে বাগধারা - অর্থ, উদাহরণ সহ বাক্যে প্রয়োগ
কই মাছের প্রান (যা সহজে মরে না) – কী কই মাছের প্রাণরে বাবা , এত মার খেয়েও চোরটা দিব্বি হেঁটে যাচ্ছে।
কড়ায়গণ্ডায় (পুরুপুরি) – তোমাদের পাওনা আমি কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছি।
কথায় চিড়া ভিজা (বিনা ব্যয়ে কার্য সিদ্ধি) – শুধু মিঠা কথায় চিড়া ভিজবে না, মাল ছাড়তে হবে।
কলুর বলদ (পরাধীন/নির্বিকারে যে পরিশ্রম করে) – কলুর বলদের মতো সারাজীবন শুধু খেটেই মরল, বিনিময়ে কি পেল?
কলির সন্ধ্যা (কষ্টের সূচনা) – এটুকু কষ্ট দেখেই ভীত হয়ে পড়েছ,কেবলতো কলির সন্ধ্যা।
ক-অক্ষর গোমাংস (বর্ণ পরিচয়হীন মূর্খ) – অনেক ধন-সম্পদ থাকলে কি হবে, সে একেবারে ক-অক্ষর গোমাংস।
কলমের খোঁচা (লিখে ক্ষতি করা) – সুদখোর মহাজনরা অনেক সময় কলমের খোঁচায় কৃষকদের সর্বসান্ত করে থাকে।
কলম পেষা ( একঘেয়ে কেরানির কাজ) – সারাজীবন শুধু কলম পিষেই কাটিয়ে দিলে, জীবনের স্বাদ কিছুই পেলে না।
কলকাঠি নাড়া (গোপনে কু-পরামর্শ দেওয়া) – তমাল তার নিজের বুদ্ধিতে একাজ করছে না, কেউ না কেউ উপর থেকে কলকাঠি নাড়াচ্ছে।
কথা চালা (রটনা করা) – কথা চালার হলে অনেক মিথ্যা খবরও মুখরোচক সংবাদ হয়ে দাঁড়ায়।
কত ধানে কত চাল (যথার্থ হিসাব-নিকাশ) – এখন গা করছো না, যখন সংসারের বোঝাটা ঘাড়ে পড়বে তখন বুখবে কত ধানে কত চাল।
কপাল ফেরা (অবস্থার উন্নতি হওয়া) – ছেলেটা বিদেশ যাওয়ায় এতদিনে তাঁর কপাল ফিরেছে।
কান পাতলা (সব কথায় বিশ্বাস করা) – কান পাতলা বন্ধুরা অনেক সময় বিপদের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব (অমুলক বস্তু) – তোমার কথায় আমি মোটেই আগ্রহী নই, এতক্ষণ যা বললে তা সবই কাঁঠালের আমসত্ত্ব।
কড়ার ভিখারী (নিঃস্ব ব্যক্তি) – মহাপরাক্রমশীল রাজা-বাদশারাও ভাগ্য দোষে একবারে কড়ার ভিখারীরে পরিণত হয়।
কড়ায়গণ্ডায় (পুরুপুরি) – তোমাদের পাওনা আমি কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছি।
কথায় চিড়া ভিজা (বিনা ব্যয়ে কার্য সিদ্ধি) – শুধু মিঠা কথায় চিড়া ভিজবে না, মাল ছাড়তে হবে।
কলুর বলদ (পরাধীন/নির্বিকারে যে পরিশ্রম করে) – কলুর বলদের মতো সারাজীবন শুধু খেটেই মরল, বিনিময়ে কি পেল?
কলির সন্ধ্যা (কষ্টের সূচনা) – এটুকু কষ্ট দেখেই ভীত হয়ে পড়েছ,কেবলতো কলির সন্ধ্যা।
ক-অক্ষর গোমাংস (বর্ণ পরিচয়হীন মূর্খ) – অনেক ধন-সম্পদ থাকলে কি হবে, সে একেবারে ক-অক্ষর গোমাংস।
কলমের খোঁচা (লিখে ক্ষতি করা) – সুদখোর মহাজনরা অনেক সময় কলমের খোঁচায় কৃষকদের সর্বসান্ত করে থাকে।
কলম পেষা ( একঘেয়ে কেরানির কাজ) – সারাজীবন শুধু কলম পিষেই কাটিয়ে দিলে, জীবনের স্বাদ কিছুই পেলে না।
কলকাঠি নাড়া (গোপনে কু-পরামর্শ দেওয়া) – তমাল তার নিজের বুদ্ধিতে একাজ করছে না, কেউ না কেউ উপর থেকে কলকাঠি নাড়াচ্ছে।
কথা চালা (রটনা করা) – কথা চালার হলে অনেক মিথ্যা খবরও মুখরোচক সংবাদ হয়ে দাঁড়ায়।
কত ধানে কত চাল (যথার্থ হিসাব-নিকাশ) – এখন গা করছো না, যখন সংসারের বোঝাটা ঘাড়ে পড়বে তখন বুখবে কত ধানে কত চাল।
কপাল ফেরা (অবস্থার উন্নতি হওয়া) – ছেলেটা বিদেশ যাওয়ায় এতদিনে তাঁর কপাল ফিরেছে।
কান পাতলা (সব কথায় বিশ্বাস করা) – কান পাতলা বন্ধুরা অনেক সময় বিপদের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব (অমুলক বস্তু) – তোমার কথায় আমি মোটেই আগ্রহী নই, এতক্ষণ যা বললে তা সবই কাঁঠালের আমসত্ত্ব।
কড়ার ভিখারী (নিঃস্ব ব্যক্তি) – মহাপরাক্রমশীল রাজা-বাদশারাও ভাগ্য দোষে একবারে কড়ার ভিখারীরে পরিণত হয়।
COMMENTS