বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হল মাথার খুলি আর মানুষের হাড়। এই ঘটনার ফলে ব্যাপক চাঙ্চল্য ডিঙিয়েছে শিলিগুড়ির সুভাষ পল্লি অঞ্চলে বাড়ির চাল...
বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হল মাথার খুলি আর মানুষের হাড়। এই ঘটনার ফলে ব্যাপক চাঙ্চল্য ডিঙিয়েছে শিলিগুড়ির সুভাষ পল্লি অঞ্চলে বাড়ির চালের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২টো মাথার খুলি। আর বাড়ির ভিতরে থেকে উদ্ধার হয়েছে মানুষের হাড়গোড়। কোথা থেকে এল এই সমস্ত মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড়? এই নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য, এ ঘটনাকে একদিকে যেমন তুলনা করা হচ্ছে ২০১৫ সালে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ দে-র ঘটনার কথা, তেমন অপরদিকে ভাবা হচ্ছে তন্ত্র সাধনার প্রসঙ্গ ও।
খবরের প্রকাশ শিলিগুড়ির সুভাষ পল্লির ওই বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন খোকা চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী, বছর ১৫ আগে তাঁদের মৃত্যু হয়। ওই একই বাড়িতে আগে বাবা, মায়ের সঙ্গে থাকতেন তাঁদের ভাগনে ভিক্টর চক্রবর্তী, ভিক্টর পেশায় বে সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন, এলাকাবাসীর বক্তব্য, বেশ কিছুদিন আগে ভিক্টরের বাবা-মায়েদের মৃত্যু হয়। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ভিক্টর, এর পরই এদিন বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল মৃত মানুষের খুলি, হাড়গোড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ির ভিতর থেকে খুব দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। তখনই খবর দেওয়া হয় এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিখিল সাহানিকে। এর পরই আজ বাড়ি পরিষ্কার করতে আসেন কর্পোরেশনের সাফাই কর্মীরা। তাঁরাই বাড়ির চালের উপর মানুষের মাথার খুলি ও ভিতর থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করেন। এ প্রসঙ্গে নিখিল সাহানি জানিয়েছেন, "মঙ্গলবার এলাকা বাসী জানায়, এলাকা থেকে খুব দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আজ আমি তাই লোক পাঠাই পরিষ্কার করার জন্য। তাঁরাই আমাকে খবর দিয়ে গোটা ঘটনা জানান। পুলিস তদন্ত করছে গোটা ঘটনার।"
এই ঘটনায় তুমুল চাঙ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কোথা থেকে কীভাবে বাড়ির ভিতর এই খুলি, হাড়গোড় এল? উঠছে প্রশ্ন। মামা-মামী র মৃত্যু হয়েছে বহু বছর আগেই। বাবা, মায়ের মৃত্যু পরেও শ্মশানে দেহ দাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রা। তবে? দানা বেঁধেছে রহস্য। পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারী অফিসার রা মনে করছেন ভিক্টর সম্ভবত তন্ত্র সাধনা করতেন। কিন্তু তাহলেও প্রশ্ন উঠছে এই দেহাংশ কার?
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ভিক্টর চক্রবর্তী। উদ্ধার হওয়া খুলি, হাড়গোড় নিয়ে গিয়েছে পুলিস। শুরু হয়েছে পলাতক ভিক্টর চক্রবর্তী র খোঁজ। এলাকাবাসীর বক্তব্য, মা-বাবার মৃত্যুর পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ভিক্টর। বাড়িতে সেভাবে কেউ আসা যাওয়া করেন না। ইদানীং পাড়ার লোকদের নজরে খুব একটা আসেননি।
COMMENTS