খোলা চিঠি দাদার বন্ধু ছিলে তুমি, সেই সুবাদেই বাড়ি তে তোমার যাতায়াত ছিল অবাধ। কিন্তু কখনও কথা বলার সাহস হয়নি। অসম্ভব ব্যক্তিত্বের খোল...
খোলা চিঠি
দাদার বন্ধু ছিলে তুমি, সেই সুবাদেই বাড়ি তে তোমার যাতায়াত ছিল অবাধ। কিন্তু কখনও কথা বলার সাহস হয়নি। অসম্ভব ব্যক্তিত্বের খোলসে ঢেকে রাখতে নিজেকে। ভয় মেশানো শ্রদ্ধা ছিল তোমার প্রতি।
সেই, সেই যেবার প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে নবমীর ঠাকুর দেখতে যাব বলে বের হচ্ছিলাম, হঠাৎ কোথা থেকে এসে দরজা আগলে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে বলেছিলে, "বেশি রাত হয় না যেন"।
তখন সেটা শাসন মনে হয়ে ছিল, আজ বুঝি, সেই কথায় কোথাও একটা প্রশ্রয় ছিল। আমি তোমার চোখে চোখ রেখে কিছু বলতে পারিনি, শুধু ঘাড় নেড়ে উত্তর দিয়েছিলাম। আর সেই একদিন সন্ধ্যেবলা পড়ে ফেরার সময় হঠাৎ বৃষ্টি এল, একটা বন্ধ দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তুমি সেই পথেই ফিরছিলে, এগিয়ে এসে নিজের ছাতাটা দিয়ে বলেছিলে "বাড়ি যাও", তারপর এক মিনিট ও সেখানে দাঁড়াও নি, ভিজতে ভিপড়ে জতে চলে গেছ। তোমার চলে যাওয়া দেখেছিলাম সেদিন। এরকম আরও কতবার তোমার সামনাসামনি হয়েছি, কিন্তু কখনও তোমার চোখে চোখ রাখতে পারিনি। প্রতি মুহূর্তে ভয় পেয়ছি যদি তোমার প্রেমে যাই।
- শাশ্বতী দত্ত
দাদার বন্ধু ছিলে তুমি, সেই সুবাদেই বাড়ি তে তোমার যাতায়াত ছিল অবাধ। কিন্তু কখনও কথা বলার সাহস হয়নি। অসম্ভব ব্যক্তিত্বের খোলসে ঢেকে রাখতে নিজেকে। ভয় মেশানো শ্রদ্ধা ছিল তোমার প্রতি।
সেই, সেই যেবার প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে নবমীর ঠাকুর দেখতে যাব বলে বের হচ্ছিলাম, হঠাৎ কোথা থেকে এসে দরজা আগলে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে বলেছিলে, "বেশি রাত হয় না যেন"।
তখন সেটা শাসন মনে হয়ে ছিল, আজ বুঝি, সেই কথায় কোথাও একটা প্রশ্রয় ছিল। আমি তোমার চোখে চোখ রেখে কিছু বলতে পারিনি, শুধু ঘাড় নেড়ে উত্তর দিয়েছিলাম। আর সেই একদিন সন্ধ্যেবলা পড়ে ফেরার সময় হঠাৎ বৃষ্টি এল, একটা বন্ধ দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তুমি সেই পথেই ফিরছিলে, এগিয়ে এসে নিজের ছাতাটা দিয়ে বলেছিলে "বাড়ি যাও", তারপর এক মিনিট ও সেখানে দাঁড়াও নি, ভিজতে ভিপড়ে জতে চলে গেছ। তোমার চলে যাওয়া দেখেছিলাম সেদিন। এরকম আরও কতবার তোমার সামনাসামনি হয়েছি, কিন্তু কখনও তোমার চোখে চোখ রাখতে পারিনি। প্রতি মুহূর্তে ভয় পেয়ছি যদি তোমার প্রেমে যাই।
- শাশ্বতী দত্ত
COMMENTS