অবশেষে ২৪ জুলাই মুক্তি পেল সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Sing Rajput) অভিনিত শেষ ছবি 'দিল বেচারা' (Dil Bechara) , আজ আমরাো 'দ...
অবশেষে ২৪ জুলাই মুক্তি পেল সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Sing Rajput) অভিনিত শেষ ছবি 'দিল বেচারা' (Dil Bechara), আজ আমরাো 'দিল বেচারা ছবিটির গল্প' নিয়ে আলচোনা করব।
'দিল বেচারা' হল সেই ছবি যা দেখার জন্য 'সুশান্ত সিং রাজপুতের' অগুনিত ভক্ত ও সিনেমা প্রেমিরা এতদিন আগ্রহে ভরে অপেক্ষা করছিলেন, অন্যান্য ছবির থেকে 'দিল বেচারা' দেখার জন্য যে আলাদা আবেগ কাজ করবে সুশান্ত সিং রাজপুত এর ভক্ত ও সিনেমা প্রেমিদের মনে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
'দিল বেচারা' হল সেই ছবি যা দেখার জন্য 'সুশান্ত সিং রাজপুতের' অগুনিত ভক্ত ও সিনেমা প্রেমিরা এতদিন আগ্রহে ভরে অপেক্ষা করছিলেন, অন্যান্য ছবির থেকে 'দিল বেচারা' দেখার জন্য যে আলাদা আবেগ কাজ করবে সুশান্ত সিং রাজপুত এর ভক্ত ও সিনেমা প্রেমিদের মনে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
দিল বেচারা (বাংলা অসহায় হৃদয় ) চলচ্চিত্রটি জন গ্রিনের ২০১২ সালের উপন্যাস দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস এর হিন্দি চলচ্চিত্র রূপান্তর, মুখেশ ছাবড়ার (Mukhesh Chabra) পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র এবং সুশান্ত সিং রাজপুত এর অভিনিত শেষ চলচ্চিত্র, যিনি চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার আগে ২০২০-এ ১৪ই জুন মারা গিয়েছিলেন। নায়িকা হিসাবে সঞ্জনা সংঘী ( Sanjana Sanghi ) এর অভিনিত প্রথম সিনেমা হল দিল বেচারা।
হ্যাঁ, ছবি দেখার চাইতে 'দিল বেচারা'তে
সুশান্তকে দেখার ইছেতাই যেন নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে অগ্রাধিকার পায়। ছবির শুরুর দিকে কিজি বসুর (সঞ্জনা সঙ্ঘী) মুখ থেকে 'এক থা রাজা, এক
থি রানি। দোনো মর গ্যায়ে, খতম কাহানি, পর অ্যায়সি কাহানিয়া কিসকো আচ্ছি
নেহি লাগতি', ডায়ালগটা শুনে কিছুটা
চমকে জেতেই হয়, তবে গুল্পটি আরো জমে ওঠে যখন ম্যানির উপস্থিতি ঘটে কিজি বসু এর জীবনে। নাহ... কিজির গল্প কিন্তু শেষ হতে দেননি ম্যানি।
ক্যান্সারে আক্রান্ত, বাবা-মাকে ঘিরে চলা কিজির 'বোরিং', মৃতপ্রায় জীবনে নাতুন করে আশার আলোর সঞ্চার করেন ম্যানি ওরফে ইম্যানুয়েল রাজকুমার জুনিয়র ওরফে সুশান্ত সিং রাজপুত। নিজের জন্য নয়, প্রেমিকা,বন্ধু কিজির ইচ্ছাপূরণ করতেই যেন নতুন করে শুরু হয় ম্যানির পথ চলা। কিজি বসুর সাথে দেখা হবার পর ম্যানি যেন তার নিজের জীবনেও নতুন আলোর হদিস পায়।
'' আমিও অনেক
বড় বড় স্বপ্ন দেখি, তবে সেগুলো পূরণ করতে ইচ্ছা করে না'', কিজির বাবাকে এরকমি বলে ছিল সুশান্ত, থুরি ম্যানি।
কিজি আর ম্যানি'র জীবনের মিষ্টি আবেগঘন একটা স্বল্প সময়ের প্রেমের গল্প হল এই 'দিল বেচারা' ।
তবে এই স্বল্প সময়ে কিভাবে দাপিয়ে বেড়ানো যায়, জীবনকে উপভোগ করে বেঁচে থাকা যায়, জীবনের শেষ ছবিতে তা আরও একবার শিখিয়ে দিয়ে গেলেন সুশান্ত। সত্যিই তো
''জন্ম কবে, মৃত্যু কবে, তা আমরা ঠিক করতে পারি না, তবে কীভাবে বাঁচবো সেটা
তো আমরা ঠিক করতে পারি''।
দিল বেচারা চলচ্চিত্রটিতে কিজি ও
ম্যানি দুজনেই জানে যে- মৃত্যু তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কড়া নাড়ছে। তবু সেই
কড়া নাড়ার শব্দকে এড়িয়ে জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত কিভাবে উপভোগ করতে হয় সেটাই শিখিয়ে দিয়ে গেলেন দিল বেচারার ম্যানি।
ছবির শেষের দিকে ম্যানির লেখা চিঠিতে ''ইয়ে রাজা তো মর গ্যায়া, পর
মেরি রানি আভি জিন্দা হ্যায়, আর তবতক মেরি কাহানি ভি জিন্দা হ্যায়''। এই
ডায়ালগটাতেও যেন বাস্তবের সঙ্গে অদ্ভুত মিল।
ছবিতে সুশান্ত এর চরিত্রটি যেন মনে করিয়ে দেয় আনান্দ ছবির রাজেশ খান্না (Rajesh Khana) কে।
যাইহোক সুশান্ত সিং রাজপুতের পাশাপাশি ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেছেন কিজি বসু ওরফে সঞ্জনা
সঙ্ঘী। 'রকস্টার', 'হিন্দি মিডিয়াম'-এর সেই ছোট্ট সঞ্জনা যে বয়স
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিনয়েও যে পরিণত হয়েছেন তা 'দিল বেচারা' তে তার অভিনয় দেখলেই বোঝা যায়। সুশান্তময়
এই ছবিতে আলাদা করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেবে সঞ্জনা সঙ্ঘী এর অভিনয়।
ছবিটিতে আলাদা করে মন ছুঁয়ে যায় কিজির মা-বাবার ভূমিকায় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়, বলার অপেক্ষা রাখেনা ছবিটিকে পূর্ণতা দিতে তাঁদের ভূমিকা যথেষ্ট
গুরুত্বপূর্ণ।
অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় ভাল অভিনয় করেছেন সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। এ আর রহমান (A R Rahaman) এর মিউজিক আলাদা করে দর্শকদের মণ ছূয়ে যেতে বাধ্য।
চিত্রনাট্য ছোটখাটো কিছু ফাঁক ফোঁকর থাকলেও
সবকিছুই ঢাকা পড়ে গিয়েছে কান্না-হাসি-মজা তে ভরা দিল বেচারা ছবির গল্পে।
[full_width]
[full_width]
COMMENTS